শশা আমাদের দেশে জনপ্রিয় একটি সবজি। শশা শুধুমাত্র সালাতে নয় সবজি হিসাবেও খাওয়া হয়। শশার উপাদানের ৮০ শতাংশ পানি থাকে। আমাদের দেশে শশা সালাদের তালিকার প্রথমে রাখা হয়ে থাকে। এছাড়াও শশা রূপ চর্চার জন্যেও ব্যবহার করা হয়। আসুন জেনে নেই টবে শশা চাষ পদ্ধতি।
টবে শশা চাষের জন্য উপযুক্ত জাত নির্বাচন
বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কয়েক ধরণের শশার জাত চাষ করা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ জাতই হাইব্রিড। পটিয়া জায়ান্ট বিএডিসি বারোমাসি ও নামের ২ টি স্থানীয় জাত রয়েছে। বেসরকারী বীজ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান গুলো বেশ কয়েকটি বিশুদ্ধ জাত ও হাইব্রিড জাত বাজারজাত করছে। শশার বিভিন্ন জাতের মধ্যে- আলভী, কিরিণ তিতুমির, নওগ্রা গ্রীন, হিমেল, গ্রীন ফিল্ড, বাশখালী, মধুমতি, শিলা, লাকি-৭ ইত্যাদি জাতসমুহ আমাদের দেশে চাষ করা হয়ে থাকে।
-
Product on saleপ্রফেশনাল গ্রাফটিং টুলস-Professional Garden Grafting Tools1,400.00৳
-
Product on saleহ্যান্ড স্প্রে মেশিন ২-লিটার – Spray Machine 2-liter330.00৳
-
নিম তেল উৎকৃষ্টমানের অর্গানিক বালাইনাশক- Pesticide Neem Oil ১০০ মিলি150.00৳
-
Product on saleসরিষার খৈল গাছের জন্য উপকারী সেরা মানের জৈব সার -Mustard Cake70.00৳
কিভাবে উপযোগী মাটি তৈরি করবেন
শশা উৎপাদণের জন্য উর্বর বেলে দো-আঁশ মাটি উপযুক্ত। এক ভাগ সাদা বালু একভাগ মাটি আর একভাগ পচাঁ গোবর বা ভাল মানের কম্পোষ্ট সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সম্ভব হলে এই মিশ্রণের সাথে সামান্য ছাঁই মেশাতে পারেন। টবে সফলভাবে ফলন পেতে হলে পর্যাপ্ত জৈব সারের সঙ্গে পরিমানমত রাসায়ানিক সার ব্যবহার করা যেতে পারে, এটা হতে পারে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী।
বীজ বা চারা রোপণ
শশার বীজ বপণের জন্য ২৪ ঘন্টা আগে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজের আকারের দ্বিগুন গভীরে বীজ বপণ করতে হবে। চারা রোপনের উপযুক্ত সময় বিকালবেলা, তাহলে চারা কম মরবে। চারা লাগানের পরে চারার গোড়ায় মাটি দিয়ে টিপে দিতে হবে। তারপর টবে পানি দিতে হবে।
শশা গাছের যত্ন
যে টবে বীজ রোপণ করবেন তার নিচের দিকে ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে। চারা গজানের এক সপ্তাহ পর থেকে পরিমাণ মতো তরল সার প্রয়োগ করতে হবে এবং পাত্রের মাটির পরিমাণ অনুযায়ী পাঁচ দানা করে টিএসপি দিয়ে, টবের কিনারার দিকে মাটি আগলা করে দিতে হবে। শশা গাছে সকাল-বিকাল পানি দিতে হবে।
তরল সার প্রস্তুতি ও প্রয়োগ
আধা লিটার পানিতে ২৫ গ্রাম সরিষা খৈল ভিজিয়ে ৭দিন রেখে দিতে হবে। এবার এই ভেজানো খৈল দশ লিটার পানিতে দুই চা-চামচ ইউরিয়া এবং এমওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে পরিমাণ মতো প্রয়োগ করতে হবে।
শশা গাছের পোকামাকড় দমন
- শশা গাছে মাছি পোকা দেখা যায় । মাছি পোকা কচি ফলে ডিম পাড়ে এবং ফল নষ্ট করে দেয়। আক্রান্ত ফল গাছ থেকে তুলে ফেলে দিতে হবে এবং সেক্স ফরেমন ফাঁদ ব্যাবহার করতে হবে।
- শশা গাছের পাতায় ডাউনি মিলডিউ রোগ দেখা দিয়ে থাকে। এর ফলে পাতায় নানা আকারের দাগ দেখা যায়। প্রতিকার হিসাবে সময় মত আগাছা পরিস্কার করতে হবে।
- শশা গাছে রেড পামকিন বিটল পোকা আক্রমণ করে থাকে। এরা পাতা, ফুল ও কচি ফল খেয়ে নষ্ট করে দেয়।েএ রোগে আক্রান্ত হলে পোকা গুলো মেরে ফেলতে হবে। সাবান গুলিয়ে অথবা নিমবীজের দ্রবণ স্পে করলে এ পোকার আক্রমণ কমে যায়।
শশার জীবন কাল
সাধারণত জাত ভেদে শশা গাছ ৭৫ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত বেচে থাকে।
শশা চাষের সময়
শশা চাষের উপযুক্ত সময় ফ্রেবুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। তবে হাইব্রিড জাত গুলো সারা বছরই বপণ করা যায়।