বসতবাড়িতে পালিত হাঁস-মুরগী ও খামারে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ভাইরাস সংক্রামক রোগ হচ্ছে রানীক্ষেত বা নিউক্যাসেল ডিজিজ। এ রোগটি সর্ব প্রথম ইংল্যান্ডের নিউক্যাসেল নামক স্থানে শনাক্ত করা হয়। এবং পরর্বতীতে ভারতের রানীক্ষেত নামক স্থানে শনাক্ত করা হয়। আর এ জন্য এ রোগের নাম রানীক্ষেত। নিচে হাঁস-মুরগীর রানীক্ষেত রোগের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
রানীক্ষেত রোগ কিভাবে ছড়ায়
- আক্রান্ত হাঁস-মুরগীর মাধ্যমে ছড়ায়
- হাঁস-মুরগীর লালা, হাচি, ইত্যাদি ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
- রানীক্ষেন আক্রান্ত মৃত হাঁস-মুরগীর যেখানে সেখানে ফেলে রাখলে বিভিন্ন পশুপাখির মাধ্যমে যেমন- কাক চিল শকুন, এবং শিয়াল, কুকুর দ্বারা।
- আক্রান্ত খামারের কর্মীদের পোশাক জুতা বিভিন্ন যন্তপাতির মাধ্যমে।
- খাবার ও খাবারের পাত্রের মাধ্যমে ছড়ায়।
- এছাড়া বাতাসের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
রানীক্ষেত রোগের কারণ
এ রোগটি নিউক্যাসেল ডিজিজ ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হয়।
রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ
- এ রোগ দেখা দিলে হাঁস-মুরগীর শ্বাসতন্ত্র, সায়ুতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ন লক্ষণ প্রকাষ করে।
- হাঁস-মুরগীর পরিপাকতন্ত্র আক্রান্ত্রের কারণে সবুজ বর্ণের অথবা সাদা চুনের ন্যায় পাতলা মল ত্যাগ করে। সায়ুতন্ত্রের আক্রমনের ফলে হাঁসের ঘাড় বাকা হয়ে যায়
- এ রোগের সুপ্তিকাল ৩ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত।
- আক্রান্ত হাঁস-মুরগীর ডানা ঝুলে যায়।
- শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীর মিলনস্থল অবস হয়ে যায়, ফলে খাবার গ্রহন কমিয়ে দেয়।
- শ্বাস কষ্ট দেখা যায় ফলে হা করে নিশ্বাস নেয়।
রানীক্ষেত রোগের চিকিৎসা
- রানীক্ষেত একটি ভাইরাস জনিত রোগ । ভাইরসের বিরূদ্ধে তেমন কার্যকারী ব্যবস্থা নেওয়া যায় না
- তবে secondary infection এর হাত থেকে বাচার জন্য এন্টিবায়োটিক দিলে ভাল কাজ করে।
- এছারা হাঁস-মুরগীর পাতলা পায়খানা করলে ইলেক্ট্রোলাইট দিতে হয়।
- রানীক্ষেত রোগ হলে হাঁস-মুরগীর দুবল হয়ে পড়ে, ফলে পানিতে ভিটামিন মিশিয়ে দিলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
কিভাবে রানীক্ষেত রোগের আক্রমণ কমানো যায় ?
- হাঁস-মুরগীর বাচ্চার যখন বয়স হবে ৩-৫ দিন তখন ভ্যাক্সিন দিতে হবে
- এর পর ১৪-১৭ দিন বয়সে বুস্টার ডোজ দিতে হবে
- এছাড়া ৬০-৬৫ দিন বয়সে কিল্ড ভ্যাক্সিন দিতে হবে।
- রানীক্ষেত রোগের টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে ৬ মাস পর্যন্ত।
- দ্বিতীয় বার টিকা দিতে হয় ৬ মাস পর। তবে ৪ থেকে ৫ মাস পর পর পরবর্তী টিকা দেওয়া ভাল
- খামারে রোগ দেখা দিলে সুস্থ হাঁস-মুরগীগুলোকে আলাদা করে টিকা দিতে হবে
- এবং একজন চিকিৎসকের সর্নাপন্ন হতে হবে।
আমার মুরগির রানীক্ষেত লক্ষণ
দেখা দিয়েছে। এর কি ঔষধ খাওয়াতে হবে।
হাঁসের কি এই টীকা দিতে হবে
কোন টিকার কথা বলছেন?
প্রথমদিকে হাস হাঁটতে পারেনা, কিছুক্ষন পর মাথা ছেড়ে দেয়, মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিচ্ছে, খাবার খাচ্ছে না ঠিকমতো,১দিনের মত এভাবে থেকে মারা যাচ্ছে।
ভেটেরিনারি শপে যাওয়ার পর প্রথমে ওনারা,
Cipronal oral powder(ciprofloxcin10%) এবং Acilin oral powder(Lincomycin Hydrochloride)
চার-পাঁচ দিন খাওয়ানোর পরও কাজ হয়নি, হাস মারা যাচ্ছে।এই ঔষধ গুলো কি,উপরোক্ত রোগের ঔষধ??
পরবর্তী আরেকটা ভেটেরিনারি শপে যাওয়ার পর তারা,
বিটা-৩,সিএফসিন,এফ ক্যালফস-ডি দিয়েছেন।
কোন ঔষধ কন্টিনিউ করবো?
সমাধান চাই
পরের ওষুধটাতে কাজ হওয়ার কথা, একটু ট্রাই করে দেখুন।
পোল্ট্রি বা লেযার এর জন্য। সকল প্রকার রোগ থেকে সেইভ থাকার জন্য।রিফেন্স যেটা লিকুইডনপানির সাথে ব্যবহার করলে ভালো রেজাল্ট পাওযা যাবে।এটা ব্যবহারে আপনার মুরগিকে যে কোন ব্যাকটেরিযা বা ভাইরাস জনিত সকল সমস্যার জন্য। ডক্টর এগ্রোভেট লিঃ এর রিফেন্স ব্যবহার করলে আশা করি খামারি ভাইযেরা ভাল একটা রেজাল্ট পাবে বলে আশা করি।
যে কোন প্রযোজনে যোগাযোগ করতে নিচে দেওযা নাম্রারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি।
মোঃ রাশেদুল ইসলাম (মার্কেটিং অফিসার)
মোবাইলঃ০১৩০৩৫৭০০৯৪
ধন্যবাদ আপনাকে এধরনের উপকারী তথ্য শেয়ার করার জন্য, কিন্তু এভাবে সরাসরি মার্কেটিং করবেন না। যখন আপনার সার্ভিস মানুষের দরকার হবে তখন সেই আপনার কাছে নাম্বার চাইবে। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য।
আমার মোরগ দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে, খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে, মাথার আলগুলো কালো রংয়ের হয়ে গেছে, এখন করণীয় কী?
এটা একটা জটিল বিষয, না দেখে এভাবে পরামর্শ দেওয়াতে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে, তাই আপনার উচিৎ একজন স্থানীয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।
আমি দেশি মুরগি পালন করতে চাই একটু পরামর্শ দিতেন স্যার
এ সম্পর্কে আমরা একটা কনটেন্ট পাবলিশ করার চেষ্টা করছি।
মুরগির সবুজ পাতলা আর সাদা পাইকানা হচ্ছে কিছূই কাচ্ছে না প্লীস হেল্প করুন..