পুকুরের পানিতে যে কোন অতিরিক্ত শেওলা মাছের জন্য ক্ষতিকর। শেওলা মাছর স্বাভিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, হজম পক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, শেওলা পুকুরে অক্সিজেন ও প্রাকৃতিক খাবার তৈরীতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় । পুকুরের পানিতে লাল শেওলা হলে করণীয় কি নিচে আলেচনা করা হলে।
লাল শেওলা কি ও কত প্রকার : লাল শেওলা সাধারণত দুই প্রকার
১।পানিতে অতিরিক্ত আয়রন জনিত স্তর
২। ইউগ্লেনা জনিত স্তর
দুই প্রকার লাল শেওলা চেনার উপাই : –
-
Bio-C Complex, মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ভিটামিন বায়ো সি কম্পেলেক্সProduct on sale130.00৳ – 950.00৳
-
ইন-জাইম প্লাস, মাছ ও চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক (Fish Disease Preventer)Product on sale140.00৳ – 950.00৳
-
Biomin B+C, মাছের শক্তি বৃদ্ধিকারী ভিটামিন বায়োমিন বি প্লাস সিProduct on sale200.00৳ – 1,000.00৳
-
Paratic-RS: পরজীবী দমণকারী, মাছ ও চিংড়ির উকুননাশকProduct on sale200.00৳
১। পানিতে অতিরিক্ত আয়রন জনিত স্তর
এটি সব সময়ই লালচে হয়ে থাকে এটির রং কোন সময়ই পরিবর্তন হয় না। লাল স্তরের মধ্যে হাত ঢোকালে সেগুলো হাতের সাথে লেগে থাকে।
কি কারণে পানিতে লালস্তর হয়
পানিতে আয়রনের পরিমান বেশি হয়ে গেলে বা আয়রন সম্বলিত ভূ-গর্ভস্থ পানি পুকুরে দিলে পানিতে লাল স্তর হয়।
পুকুরের লালস্তরের প্রতিকার:
আয়রন মুক্ত স্তরে বোরিং স্থাপন করতে হবে। সম্ভব না হলে ঘাস সম্বলিত নালা বা নালার মধ্যে ধানের খড় বিছিয়ে দিয়ে পানি প্রবাহিত করে একটি পুকুরে ফেলতে হবে। তাহলে পানিতে থাকা আয়রন ঘাস/ধানের খড় শোষন করে নিবে।
তারপর মূল পুকুরে পানি সরবরাহ করতে হবে। এসব যদি সম্ভব নাহয় তাহলে বাঁশ বা খড়ের দড়ি দিয়ে শেওলা উঠিয়ে ফেলতে হবে। পুকুরে পর্যাপ্ত রোদ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি শতকে ফিটকিরি ১০০গ্রাম, ২০০ গ্রাম চুন অথবা ২৫০ গ্রাম জিওলাইট, ব্যবহার করা যেতে পারে। এবং পরপর তিন দিন প্রতি শতকে ১০০ গ্রাম করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে পানির নাথে মিশিয়ে।
২। ইউগ্লেনা জনিত স্তর
মাছ চাষে ঠিক এ সময়টা ইউগ্লেনা সমস্যা বেশি হয় ঋতু পরিবর্তনে– নেপথ্যে কারণ হলো বর্ষাকালে পানির পুষ্টির সঠিক যোগান দেয়া যায় না যেহেতু প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ আবহাওয়া মাছের জন্য বর্ষাকাল হয় তখন মাছ স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত এবং প্রজননে অংশ ও প্রজনন্ ক্ষম হয়,আদ্র আবহাওয়ায় রাসায়নিক সার,জৈবসার খুবই কম প্রয়োগ হয় সংগত কারণে”
কিন্তু বিপত্তি ঘটে বর্ষা শেষে ঋতু পরিবর্তনে যখন দিনালোক ছোট এবং ভোরে কুয়াশার আবির্ভাব হয়, সাথে আবহাওয়ার তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে এবং পানিতে অপুষ্টির কারণে পুকুরে লাল শ্যাওলা হয়,পুকুরে পর্যাপ্ত সালোকসংশ্লেষণ না হলেও হতে পারে।
পানিতে ইউগ্লেনা নামক বহুকোষী প্রাণীর উপস্থিতি বেড়ে গেলেই মুলত লাল স্তর দেখা যায়। এই ধরনের সর দিনের বেলায় সূর্যালোকের উপস্থিতিতে লালচে-বাদামী বর্ণ ধারণ করে কিন্তু আর সূর্যাস্ত গেলে সবুজ বা বাদামী রং ধারন করবে। এটার মধ্যে হাত কিংবা কোন কাঠ ঢুকিয়ে দিলে দুরে সরে যাবে আবার হাত বা কাঠ বের করে নিলে সাথে সাথেই মুদে যায়।
ইউগ্লেনা প্রতিকারের উপায়
তিন ভাবে পানির ইউগ্লেনা প্রিতিকার করা যায়।
১। পুকুরে পর্যাপ্ত রোদ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে,সকাল ১০-১১ টায় হররা টেনে ফিটকিরী ১৫০ গ্রাম ১ ঘন্টার ব্যবধানে ২৫০ গ্রাম জিওলাইট প্রতি শতাংশে ৫ ফুট গভীরতার পানিতে গুলে প্রয়োগ। পরের দিন ছনের দড়ি বা খড় দিয়ে দড়ি বানিয়ে টেনে তুলে ফেলুন অথবা বাঁশ দিয়ে স্বর ভেঙে ফেলুন। তারপরের দিন থেকে পরপর তিনদিন ইউরিয়া ১০০ গ্রাম টিএসপি (বাংলা পতেঙ্গা) ৭০ গ্রাম করে শতাংশে প্রয়োগ করুন। দুপুরে রৌদ্রস্নাত দিনে প্রয়োগ করতে হবে। মাছের সাইজ ৫০ গ্রাম উর্দ্ধ হতে হবে। আশাকরি এ সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
২। ইউগ্লেনা হলে স্তরটি একপাশে চাপিয়ে বা বাতাসে এক পাশে চলে আসলে ৩ দিন অন্তর-অন্তর তুলে ফেলতে হবে এইভাবে ৩-৪ বার প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
৩। জমে থাকা ইউগ্লেনার স্তরের উপর প্রতি শতকের জন্য ১ কেজি হারে টাটকা দলা অবস্থায় থাকাতেই পুকুর পাড়ে নিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে পাথুরে চুনে ( প্রতি কেজিতে ২০০ মিলি) পানি ছিটিয়ে দিয়ে পাউডার বানিয়ে ঠান্ডা হলেই সতর্কতার সাথে ইউগ্লেনার স্তরের উপর ছিটিয়ে দিন।
সর্তকতা:
চুন প্রেয়োগের সময় হাতে গ্লাভস, চোখ, মুখ ও দেহের সুরক্ষিত করে নিতে হবে।